দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক জামদানি শাড়ি,এখন থেকে জামদানির নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন সদন ছাড়া কোনো তাঁতিই জামদানি তৈরি করতে পারবে না।
জামদানির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন সনদ পেলেন ৬৬ জন তাঁতি। গত রোববার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিসিক জামদানি শিল্পনগরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৬৬ জন তাঁতির হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) যৌথভাবে এসব সনদ প্রদান করে।
বিসিকের টেকনিক্যাল এসিসটেন্স ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ফান্ডেড প্রিজম প্রজেক্টের কমিউনিকেশন-এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবদুল হালিম বলেন, জিআই চিহ্নিত জামদানি শিল্প এলাকায় প্রায় ৫ হাজার জামদানি তাঁতি আছেন। এ সীমানায় অন্তর্ভূক্ত সব জামদানি তাঁতিকে পর্যায়ক্রমে জিআই নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম শেষ হলে শুধু সনদপ্রাপ্ত তাঁতিরাই জামদানি উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবেন। ফলে জামদানি পণ্যের বৈধ তাঁতি বলে তারাই বিবেচিত হবেনi
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিবন্ধিত জামদানি তাঁতিদের বিশ্ববাজারে জামদানি পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পরিচিতিকরণ এবং বাজারজাতকরণে সব রকমের সহযোগিতা দিতে বিসিক সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
সনদ বিতরণ শেষে জামদানি তাঁতিদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়। যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামদানি খাতের উদ্যোক্তাসহ তাঁতিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বিসিকের চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিসিকের নকশা ও বিপনন বিভাগ এবং প্রিজম প্রকল্পের পরিচালক মাহবুবুর রহমান এবং পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেনসহ সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।