সরকারের সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে পোশাক কারখানাগুলোও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোশাক কারখানাগুলোর মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পোশাক কারখানাগুলোও ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ও বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান আজ শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে বলেন, করোনার কারণে উদ্ভুত’ত পরিস্থিতিতে সরকারের ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য প্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে এ সময়ের মধ্যে বেতন দেয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা রাখার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে নিজ নিজ এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ/বিকেএমইএ) এবং শিল্প পুলিশকে অবহিত করতে হবে।
তারা আরও জানায়, পোশাকের জরুরি রপ্তানি ক্রয়াদেশ ও যেসব কারখানায় সুরক্ষা পোশাক ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে সেসব কারখানা খোলা রাখা যাবে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সংগঠন, শিল্প পুলিশ এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে।
এর আগে সরকার ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে এই দুই সংগঠন পোশাক কারখানাগুলোও ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ১৬ই এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল কারখানাগুলোকে। নতুন বিবৃতিতে বেতন পরিশোধের তারিখ ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানা গেছে।
অবশ্য সরকার দ্বিতীয় দফায় ছুটি বৃদ্ধি করলেও গত ৫ এপ্রিল কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা। গত শনিবার সারা দেশ থেকে পোশাকশ্রমিকেরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই ঢাকাসহ আশপাশের শিল্পাঞ্চলে চলে আসেন। চাপে পড়ে সে দিন রাতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের অনুরোধ জানান।
এদিকে, এরই মধ্যে বিজিএমইএ’র ২৭৮টি কারখানায় মার্চ মাসের বেতন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও বেতন পরিশোধের চেষ্টা চলছে।একইসঙ্গে শ্রমিকদের নতুন করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট করার কথাও বলা হয়েছে।