দেশের সব পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধের জন্য মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)।
সোমবার বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক ও বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এক যৌথ ঘোষণায় এসব জানান।
এ ছাড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পোশাক কারখানা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে যাদের জরুরি রপ্তানি কার্যাদেশ রয়েছে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান পিপিই, মাস্ক ইত্যাদি তৈরি করছে সে সব প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক ও বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এক যৌথ ঘোষণায় এসব জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামা’রি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের সাধারণ ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যাদের জরুরি রফতানি কার্যাদেশ রয়েছে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান পিপিই, মাস্ক ইত্যাদি সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করছে, সেসব প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে খোলা রাখা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এতে বলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ওই সব কারখানাকে নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ বা বিকেএমইএ), কল কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর ও শিল্প পুলিশকে অবহিত করতে হবে।
কারখানা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত থাকলেও আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করতেও অনুরোধ করা হয়েছে বিবৃতিতে।